করোনাভাইরাস মোকাবেলায় ২১ দিনের জন্য ভারতকে লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। মঙ্গলবার রাতে জাতির উদ্দেশে দেয়া ভাষণে দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এ ঘোষণা দেন।
দেশবাসীকে বাড়িতে থাকার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, প্রত্যেক ভারতীয়, প্রতিটি পরিবারের জন্য এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। তিনি আরও জানান, এর জন্য হয়তো দেশকে আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়তে হবে। কিন্তু দেশের মানুষের সুরক্ষার জন্য এটাই এখন করণীয়?। তিনি জানান, রাত ১২টার পর থেকে গোটা দেশে সম্পূর্ণ লকডাউনে চলে যাবে। জরিপ পর্যালোচনাকারী সংস্থা ওয়ার্ল্ডওমিটার জানায়, মঙ্গলবার রাত ৯টা পর্যন্ত ভারতে আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৫১১ জন। এর মধ্যে ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। চিকিৎসা গ্রহণের পর সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৩৭ জন।
সোমবার এক টুইট বার্তায় প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেন, ‘বহু মানুষ লকডাউনকে গুরুত্বসহকারে নিচ্ছে না। দয়া করে নির্দেশনা পালন করে নিজেকে রক্ষা করুন, পরিবারকে রক্ষা করুন। আইন ও বিধিনিষেধ কার্যকর করা নিশ্চিত করতে রাজ্য সরকারগুলোকে আহ্বান জানাচ্ছি।’ এর আগে জাতির উদ্দেশে ভাষণে প্রধানমন্ত্রী মোদি ‘জনতা কারফিউর ডাক দিয়েছিলেন। ১৪ ঘণ্টার জনতা কারফিউর পর থেকে গোটা দেশেই প্রায় লকডাউন হয়েছিল।পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি করোনাভাইরাসের উপসর্গ থাকা লোকজনের চিকিৎসার জন্য রাজ্যের সর্বত্র কোয়ারেন্টিন সেন্টার প্রস্তুত রাখতে পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছেন। এজন্য বিভিন্ন কমিউনিটি সেন্টার ও স্টেডিয়াম অধিগ্রহণের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
সরকারি হিসাবে সেখানে আক্রান্তের সংখ্যা ৯৭। এরপরেই রয়েছে কেরালা। রাজ্যটিতে এ পর্যন্ত ৯৫ জন আক্রান্ত হয়েছেন। এছাড়া গুজরাট, বিহার, কর্ণাটক, দিল্লি, পাঞ্জাব, পশ্চিমবঙ্গ ও হিমাচল প্রদেশ থেকেও মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। গুরুত্বপূর্ণ সব রাজ্য থেকে সংক্রমণের খবর আসার পর অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট বন্ধের সীমা বাড়িয়েছে দিল্লি। হাজার হাজার প্রবাসী ফিরতে থাকায় পাঞ্জাবে জারি করা হয়েছে কারফিউ। ভারতের বাইরে ইরানে বসবাসকারী ২৯৮ জন ভারতীয় নাগরিকের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত করা হয়েছে। এছাড়া ভারতে এ ভাইরাসে আক্রান্তদের মধ্যে ৪১ জন বিদেশি নাগরিক।